আমার যে একখান ব্যক্তিগত ব্লগ আছে তা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। আজ কি কারনে পুরাতন ছবি দেখতে দেখতে শেরেক ও তার কেল্লা দেখে মনে হল । না আজ কিছু লিখতেই হবে শেরেখ রে নিয়ে না হলে তার প্রতি অবিচার করা হবে 🙁 ।
সেই ২০০১ সালে প্রথম রিলিজ হয় শেরেক মুভি। মুভির প্লট আসে ১৯৯০ সালের আমেরিকান কাটুনিস্ট উইলিয়াম স্টেইগ এর ছবি বই থেকে। অনেকটা আমাদের “চাচা চৌধুরী” এর মত। আমি প্রথম দেখি ২০০৮ সালে সেই ২০০১ সালের ছবি। তখন আমাদের কাছে খুব একটা ইন্টারনেট ছিল না বা আমারা নতুন নতুন মুভি খুব তারাতারি দেখতে পারতাম না।
শেরেক দেখেই খুব ভাল লেগেছিল সেই সময়। তখন থেকেই ভাবতাম ইস যদি ওর প্রাসাদে বাস্তবে দেখতে পারতাম। যা হোক সেই দেখা হল এবার ২০১৭ সালে মে মাসে সিঙ্গাপুর এর ইউনিভার্সাল স্টুডিও তে ।
শেরেক এর যে এত ভক্ত থাকবে তা জানাই ছিল কিন্তু তাই বলে আমার মত বা আমার থেকে বুড়ো রা? এই ছবি দেখলে একটু বুজতে পারবেন। বাচ্চারা যত সংখ্যায় আছে তার থেকে বেশি বুড়োরা।
আরও অনেক ছবি তুলেছিলাম কিন্তু খুজে পাচ্ছি না এখন। যাই হোক এই ৪৬ টাওয়ারের প্রাসাদের মধ্যে অনেক কিছুই আছে কিন্তু আমারা কিছুই দেখার সময় পাই নাই। তাবে দেখলাম এখানে শেরেকের একটা মুভি দেখায় যা কিনা ৫ ডি। মানে চেয়ার নড়বে, বৃষ্টি আসলে ভিজে যাবেন আর ৩ ডি গ্লাস দিয়ে ত সব যেন হাতের কাছে বাস্তব হয়ে যায়।
কিছু ছবি ধার করে এই পোস্টে দিলাম যাতে আপনাদেরও যাওয়ার ইচ্ছা করে। এক কথায় বলতে পাই সিঙ্গাপুরের সেন্টতোসা আইল্যান্ড এর ৭ দিন ঘুরলেও মজা শেষ করতে পারবেন না। আর ইউনিভার্সাল স্টুডিও – আমার মনে হয় ৫ দিন এখানে লাগবে আমার নিজেরই। আর পুরা আইল্যান্ড এর মজা ভাল মত নিতে হলে ১৫ দিন থাকতে চাই 🙂 🙂
কিন্তু কি করার আমাদের সে সময় কি আছে? না নাই। ১ দিনেই অনেক অনেক কিছু আপনি ঘুরতে পারবেন। আমার ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই কৃত্রিম আইল্যান্ডে ৪ বার যাওয়া হইছে । কিন্তু এখনও যে বাকি আছে অনেক অনেক কিছু।