তুমিঃ আমি বলেছিলাম আমি আর দ্বিতীয় কোন মানুষ কে বলবো না।
আমিঃ ও তার মানে কি এই, তুমি শুধু আমাকেই বললে না এর মধ্যেও তুমি তাকে টানছ। ভাল তোমাদের এইরুপ ভালবাসাকে কি করে যে স্মমান জানাই। সে যাইহোক আমি যে প্রথম না তা কিন্তু তুমিই আমাকে মনে করিয়ে দাও।
তুমিঃ কেন আপনার আপনার কি প্রথম, প্রথমা, দ্বিতীয়া এরা সব কোথায়? তারা কি আজকাল আপনাকে ফোনদেয় না?
আমিঃ তারা ফোন কেন দেবে, আমি কে তাদের? তুমি যে কি করতে বল তুমি কি জান?
তুমিঃ হুম জানি, বিয়ে করেন অনেক দিন হল আমাদের কেউই বিয়ে করছে না। ছোট মামার তো আরও দেরি হবে মনে হয়। তাছাড়া শুনলাম আপনার মা নাকি আপনার জন্য …
আমিঃ কেন তোমরা আগে করলেই তো পার, আর তাছাড়া আমার তো এখনো পড়া শেষ হয়নি, ছোট জনের জন্য একটা ব্যাবস্থা করতে হবে তো।
তুমিঃ কেন বিয়ে করলে তো আরও ভাল, আপনার অনেক সুবিধা হবে যেমন, নোট করে দেওয়া আরও কত কি…?
আমিঃ দেখ আমি এগুলো নিয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছি না। তুমি কি বলবে সেটা বল।
তুমিঃ কেন সময় নষ্ট করছি? আচ্ছা শুধু এটুকই বলেন মামা কে কি অগুলো আপনিই দিয়েছিলেন?
আমিঃ না আমি কি দিব মামা কে?
তুমিঃ হুম, জিত কি আপনাকে জিনিস না ফেরত দিয়েছে?
আমিঃ দেখ, কে কি ফেরত দিল না দিল তা তো তোমাকে বলতে পারব না। তবে এটুকই বলতে পারি তুমি যা চাঁচ্ছ তাই হয়েছে।
তুমিঃ ও তাই তো, আমায় কেন বলবেন। আপনি যে মিথ্যে বলছেন তা বুজতে পাড়ছি। নিজে যে কি চান সেটাও জানেন না।
আমিঃ তুমি কি জান? আমার মনে হয় তুমি এখনও অনেক ব্যাপার বুঝ না। সেদিন বলেছিলে না, ঈশ্বর তোমার ভাল করেছেন। আসলেই সে ভাল করেছে।
তুমিঃ হুম সে যে কি ভাল করেছে তা তো সবাই দেখছে, যাই হোক ভাল থাকেন। মা মনে হয় আমাকে ডাকছে, জিত কিছু বলেলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।
তার কিছুক্ষণ পর একটানা বৃষ্টি আর বাতাস, মনে হয় এবার ঢাকাতে শীত এভাবেই আসবে, আচ্ছা শীতকাল কি রোমান্টিক কাল?
জীবনের গল্পঃ পবিত্র কুমার রায়
তারিখঃ ৩১ মার্চ২০২১
জীবন সে এক মহাকাব্য ; জীবনের গল্প লিখতে বসে শুধুই মনে পরছে ছেলেবেলার কথা যখন সবেমাত্র জ্ঞান হয়েছিল কিছু পরিস্থিতি বুঝেউঠার। বয়স তখন আনুমানিক ৪/৫ বাবা কর্মস্থল থেকে বাড়ি এসেই বিমল কাকাকে ডেকে কানে কানে ফিস ফিস করে কি যেন বলতেই পুরো বাড়ির লোকজনের মধ্যে কি যেন একটা ভয় ও ত্রস্ততা এবং ছুটাছুটি শুরু হয়ে গেল!
বাবা কেন যেন আগের মত বড় ইলিশ মাছ আনলনা! মনে মনে ঐ আপসোসটাই বড় করে ভাবতে লাগলাম! এমন সময় খাওয়ার ডাক এসে গেল, বাড়ির আংগিনায় সবাই বসে খাওয়া শুরু হয়ে গেল, সবাই খুব জোরে তারাতারি খাওয়া সেরে উঠল। আমি ইলিসের অপেক্ষায় ধীরে ধীরে খেতে লাগলাম কিন্তু এমন সময় অনেকগুলো গরু মহিষের গাড়ি বাহির উঠানে এসে জরো হল। বাড়ির সকলেমিলে ঘরের আসবাবপত্র সহ যত মালামাল খাদ্যশস্য বের করে গাড়িগুলিতে উঠায়ে নিল। আমি আর না খেয়ে হাত- মুখ ধুয়ে দেখতে লাগলাম। একটি গাড়িতে ছই চাপা দেখে গাড়ির পাশে দাড়িয়ে থাকলাম মা এসে হাত ধরে জামাটা পরিয়ে দিয়ে গাড়িতে তুলে নিল। গাড়ি সবগুলি একসাথে ছেড়ে দিল। কোথায় কে আছে জানা নেই মার কোলে মাথা রেখে ভয়েভয়ে বললাম মা কোথায় যাচ্ছি মা উত্তরে বললেন তোর মামার বাড়ি তখন খুব আনন্দিত হলাম কি মজা কি মজা মামার বাড়ি যাচ্ছি।
তারপর ঘুমিয়ে পরেছিলাম আর কিছু বলতে পারিনা। পরেরদিন ঘুমথেকে উঠে দেখলাম চতুর্দিকে তাবু আর তাবু মাকে বললাম মা মামার বাড়ি বা মামা- মামী কই? মা বলল আয় পার্শ্বের তাবুতে নিয়ে বললো এই যে তোর মামা- মামী। তখন সকালে নাস্তা খেয়ে শৈশবের নিয়মে নতুন পুরাতন সংগীয় পরিবারের সদস্য বন্ধুদের নিয়ে খেলতে গেলাম এভাবে কতদিন কাটল তখন কে আর হিসাব রাখে? খাওয়া পরার কোন কষ্ট ছিলনা তাই কিছুই বুঝি নাই।