Durga Puja

শারদীয়া দুর্গাপূজা (Sharodiya Durga Puja)

শক্তিশালী রাক্ষস মহিষাসুর অনেক কঠিন প্রার্থনা করে ব্রহ্মার কাছে অমরত্বের আশীর্বাদ চাইলেন। তাকে তা দেয়া না হলে তিনি চালাকি করে বর চাইলেন যে কেবলমাত্র একজন নারী যুদ্ধে তাকে হত্যা করলে তার মৃত্যু হবে। তিনি মনে করেছিলেন যে একজন নারী তার শারীরিক শক্তির সাথে কখনো মোকাবিলা করতে পারবে না, আর তাই তিনি আসলে অমর হয়ে রইবেন। এইভাবে বরে শক্তিশালী হয়ে মহিষাসুর পৃথিবী আর স্বর্গে অরাজকতা শুরু করলেন। মহিষাসুর স্বর্গ জয় করেন এবং দেব দেবীদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন।

স্বর্গের দেব দেবীরা তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের কাছে তাদের অত্যাচারের কথা বলতে গেলেন। সেইসব কথা শুনে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের ক্রোধে  মুখমণ্ডল ভীষণাকার ধারণ করল। এই ক্রোধ তেজ রুপে এক নারীরুপ ধারন করল। এবং সকল দেব দেবীর আস্ত্র বহু হাতে ধারন করলো। এই ভাবেই মহামায়া শক্তির রুপ দুর্গা মা’র রুপ নিল।  দশভূজা মহালক্ষ্মী রূপে মহিষাসুর বধের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। দেবী ও তাঁর বাহনের সিংহ চলা শুরু করলে ত্রিভুবন কাঁপতে  লাগল।

মহিষাসুর সেই প্রকম্পনে ভীত হয়ে প্রথমে তাঁর সেনাদলের বীরযোদ্ধাদের পাঠাতে শুরু করলেন। দেবী ও তাঁর বাহন সিংহ প্রবল পরাক্রমে যুদ্ধ করে একে একে সকল যোদ্ধা ও অসুরসেনাকে পরাজিত করলেন । তখন মহিষাসুর স্বয়ং দেবীর সঙ্গে যুদ্ধ শুরু  করলো। যুদ্ধকালে ঐন্দ্রজালিক মহিষাসুর নানা রূপ ধারণ করে দেবীকে ভীত বা বিমোহিত করতে শুরু করলো, কিন্তু দেবী সেই সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিলেন। তখন অসুর অহঙ্কারে মত্ত হয়ে প্রবল গর্জন করল। দেবী বললেন, “রে মূঢ়, যতক্ষণ আমি মধুপান করি, ততক্ষণ তুই গর্জন করে নে। আমি তোকে বধ করলেই দেবতারা এখানে শীঘ্রই গর্জন করবেন।” এই বলে দেবী লাফ দিয়ে মহিষাসুরের উপর চড়ে তাঁর কণ্ঠে পা দিয়ে শূল দিতে বক্ষ বিদীর্ণ করে তাকে বধ করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *